গাজীপুরে মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে ঢাকা কলেজে বিক্ষোভ


Kamrul Islam Sohel প্রকাশের সময় : অক্টোবর ১৭, ২০২৫, ৪:৪৩ অপরাহ্ন / ১০০০
গাজীপুরে মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে ঢাকা কলেজে বিক্ষোভ

গাজীপুর কালিয়াকৈর উপজেলায় হিন্দু যুবক কর্তৃক মাদরাসার এক ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বাদ জুমা ক্যাম্পাস থেকে মিছিলটি শুরু করে সাইন্সল্যাব হয়ে মূল ফটকের সামনে এসে সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘ধর্ষকের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘আমার বোন ধর্ষিত কেন? ইন্টেরিম জবাব দে’, ‘ধর্ষকের গদিতে আগুন জ্বালো একসাথে’ এবং ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, ধর্ষকের ফাঁসি চাই’- ইত্যাদি স্লোগান দেন।

জানা যায়, ১৩ বছর বয়সি ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামে। মা-বাবা গার্মেন্টসে চাকরির সুবাদে গাজীপুরের মৌচাকে ভাড়া বাসায় থাকেন। দুই মাস আগে ভাড়া বাসা থেকে প্রতিবেশী সঞ্জিত বর্মন ও তার শ্যালক লোকনাথ চন্দ্র দাসের সহযোগিতায় ভাগিনা জয় কুমার দাস মেয়েটিকে অপহরণ করে লোকনাথের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়।

পরে তাকে জোরপূর্বক লাগাতার তিন দিন ধর্ষণ ও শারীরিকভাবে পাশবিক নির্যাতন করে জয় কুমার দাস ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। ধর্ষণের শিকার ওই মাদরাসা ছাত্রীর কান্নাজড়িত একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

মিছিল পরবর্তী ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী রিফাত বলেন, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার একটি মাদরাসার শিক্ষার্থীকে দুই মাস আগে কৌশলে আটকিয়ে রাখা হয় এবং তিন দিন ধরে ধর্ষণ করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে প্রধান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি জয় কুমার দাস ও তার সহযোগী সঞ্জয় কুমার দাস। ভিডিও জনসম্মুখে আসার পর তাদেরকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয়েছে।

বাংলাদেশে ভারতের হস্তক্ষেপ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিগত দিনে আমরা দেখেছি, যদি কোনো হিন্দু ধর্মাবলম্বী কোনো অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হয়, সেক্ষেত্রে ভারতের একটি হস্তক্ষেপ থাকে। সে কারণে তার বিচারকার্য কার্যকর করা হয় না। জুলাইয়ে ভারতের সকল কূটকৌশল আমরা ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছি। এবার আমরা একটি সুষ্ঠু বিচার দেখতে পাব।

মিডিয়ার বিষয়ে রিফাত বলেন, আমরা দেখেছি, ভারতের স্বার্থে আঘাত হানে- এমন কোনো পদক্ষেপ যদি বাংলাদেশ গ্রহণ করে, সেখানে মিডিয়াপাড়া চুপ থাকে। যার প্রমাণ এই কিশোরীর ধর্ষণ। মিডিয়া এখনো ভারতমুখী হয়ে আছে। আমরা মিডিয়াকে বলব, এগুলো ছেড়ে আপনারা বাংলাদেশমুখী হন, বাংলাদেশকে নিয়ে কথা বলেন। বাংলাদেশের পক্ষে প্রচার প্রচারণা চালান। তিস্তা চুক্তি ও তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা যেমন আমাদের অধিকার, তেমনি ধর্ষকদের বিচারও আমাদের অধিকার। মাদরাসা ছাত্রীর ধর্ষককে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দিতে হবে।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা কলেজ শাখার সভাপতি রিদওয়ানুল হক বলেন, গত চার দিন আগে গাজীপুরে হিন্দু যুবক কর্তৃক এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তারই প্রতিবাদে ঢাকা কলেজের তাওহীদি জনতা ও শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভ মিছিল।

তিনি বলেন, বিগত সরকারের সময়ে যত অন্যায়, ধর্ষণ হয়েছে- সেগুলো আমরা এড়িয়ে চলতে দেখেছি। ইন্টেরিম সরকারের প্রতি দাবি জানাই, এ ধর্ষকদের যাতে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি নিশ্চিত করা হয়।