
নারায়নগঞ্জ নিউজ এক্সপ্রেস :
ফতুল্লার ভোলাইল গেদ্দারবাজার এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মজিবরগংদের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন রেহেনা বেগম নামে এক মহিলা। এ ঘটনায় ভোলাইল মড়াখালপাড় এলাকার কুদ্দুস মোল্লা ও গুরুতর আহত রেহেনার মেয়ে কেয়া মনি ফতুল্লা মডেল থানায় মজিবরগংদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিথিক অভিযোগে কেয়া মনি উল্লেখ করেন যে, বিবাদী মজিবরের সাথে আমার মায়ের ৩ শতাংশ জমি নিয়ে পুর্ব থেকেই বিরোধ চলে আসছিলো। এরজেরে বিবাদী রেজাউল করিমের ছেলে মজিবর,কুদ্দুস মোল্লার ছেলে রাতুল,হবুল্লার ছেলে বাবুসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও খুনজখমের হুমকী দিয়ে আসছিলো। এ নিয়ে আমার মা ২৩ অক্টোবর ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানায় অভিযোগের দায়েরের পর ঐদিনই রাত সাড়ে ১২টায় মজিবরের নির্দেশে রাতুল ও বাবুসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা দেশীয় অস্ত নিয়ে আমার বাসায় এসে আমার মাকে হত্যার পরিকল্পনায় অকথ্য ভাষায় গালাগাল বসত ঘরের ভেতরে ভাংচুর করে। এ সময় আমার মা মোবাইলে কথা বলছিলো। মোবাইলে কথাবলাবস্থায় রাতুল ও বাবুসহ বিবাদীরা আমার মায়ের শরীওে বিভিন্নস্থানে এলোপাতারি পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় বাবুর হাতে থাকা হামার দিয়ে আমার মায়ের মাথায় স্বজোড়ে আঘাত করে। ফলে আমার মায়ের মাথার খুলি উড়ে যায় এবং মাথার মগজ বের হয়ে যায়। আমার মা মাটিয়ে লুটাইয়া পড়লে রাতুল ও বাবু তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে মশা মারার ইলেকট্রিক ব্যাট দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে কারেন্টের শক দেয়। আমার মা জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়লে বাসায় থাকা ৩টি স্মার্ট ফোন,ঘওে থাকা নগদ ১ লক্ষ টাকা ও ৫ ভড়ি স্বর্নালংকার নিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে পাশের বাড়ির বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াগন ফোন দিলে তারা আমার মাকে খানপুর ৩ শ শষ্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকগন আমার মাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে আমার মায়ের অবস্থা আশংকাজনক এবং সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
আপনার মতামত লিখুন :