সাংবাদিকতার নামে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ নামধারী সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে


Kamrul Islam Sohel প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২৯, ২০২৫, ৩:৩০ অপরাহ্ন / ১০০০
সাংবাদিকতার নামে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ নামধারী সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে

 

নারায়নগঞ্জ নিউজ এক্সপ্রেস :

সাংবাদিকতার নামে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে অপরাধ বিচিত্রা নামে এক ম্যাগাজিনের প্রকাশক এসএম মোরশেদ ও তার সহযোগি আহসান উল্লাহ হাসানের বিরুদ্ধে ।

অনুসন্ধানে জানা যায়, এসএম মোরশেদ ও তার সহযোগি আহসান উল্লাহ হাসান নিজেদেরকে অনেক বড় মাপের সাংবাদিক বলে পরিচয় দেয়। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সরকারি দলের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে চাঁদাবাজি করেছেন। আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পরে এই আওয়ামী লীগ দোসর এসএম মোরশেদ ও তার সহযোগি আহসান উল্লাহ হাসান নিজের খোলস পরিবর্তন করে বনে গিয়েছেন সাংবাদিক এবং তার নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে সাংবাদিকতার নামে প্রতারক চক্র- এমন অভিযোগ করেন এই চক্রের মাধ্যমে প্রতারিত হওয়া একাধিক ভুক্তভোগীরা
একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, এসএম মোরশেদ এই চক্রের মূল হোতা। তিনি এবং এই চক্রের অন্যতম সদস্য ও তার সহযোগি আহসান উল্লাহ হাসান সহ আরো কয়েকজন প্রথমে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরীরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অর্থ দাবি করে দাবিকৃত অর্থ না দিলে ভয়ভীতি দেখায় পত্রিকায় নিউজ করে দেওয়ার। এরপর একের পর একজনকে টার্গেট করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ও প্রতিষ্ঠানে বে-নামে ভুয়া অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নাম্বার এনআইডি এবং টিন নাম্বার ব্যবহার করে সেই অভিযোগপত্রে যাদের নাম থাকে তাদের হোয়াটসঅ্যাপে অভিযোগপত্র ও নিবন্ধনহীন ভুয়া পত্রিকা ও অনলাইন পেপারের ছবি তুলে অথবা লিঙ্ক পাঠিয়ে তাদের ব্লাকমেইলের চেষ্টা করেন।
অবাস্তব ও ভিত্তিহীন অভিযোগপত্র ও নিউজ লিংকে উল্লেখিত বিষয়বস্তু নিয়ে ভুক্তভোগীরা সারা না দিলে ভুক্তভোগীকে প্রতারক চক্রের প্রধান এসএম মোরশেদ ফোন করে তার নামে নিউজ হয়েছে বলে বিষয়টি মিটমাট করার কথা বলেন- বলে জানান কয়েকজন ভুক্তভোগী। অনেক সময় ভুক্তভোগীরা সামাজিক ভাবে হেও প্রতিপন্ন হওয়ার ভয়ে টাকা পয়সা দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান বলে জানান কয়েকজন। সেভাবেই এসএম মোরশেদ ও আহসান উল্লাহ হাসান বর্তমান খাদ্য অধিদপ্তেরর ডিজি হুমায়ুনের কাছে অর্থ দাবি করে তিনি অর্থ না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করে যাহা সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট।
এ ব্যাপারে খাদ্য অধিদপ্তেরর এক ঠিকাদার জানান, আমরা ঐ দুই কথিত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।